অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন মুখ্যসচিব হতে চলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. এম এ মোমেন। সচিবালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই তাঁকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৭ আগস্ট ড. এম এ মোমেনকে চুক্তিতে ২ বছরের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব করা হয়। এবার তাঁকে মুখ্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ড. এম এ মোমেনের লেখক নাম আন্দালিব রাশদী। কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক, গবেষক, কলামিস্ট হিসেবে তিনি পাঠকপ্রিয় ও নন্দিত।
ড. এম এ মোমেন ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও বিমানের এমডি ছিলেন। তার আগে নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস। এ ছাড়াও তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে যুগ্ম সচিব থাকা অবস্থায় তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার।
তাঁর জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৭, ঢাকায়। বেড়ে ওঠা ও জীবনযাপন এখানেই। আন্দালিব রাশদী বহুমাত্রিক লেখক। প্রধানত কথাসাহিত্যিক; পাশাপাশি প্রবন্ধ লিখেন, অনুবাদ করেন, কলাম লিখেন, শিল্পকলা বিষয়ক লেখালেখিও করে থাকেন। এ ছাড়াও কিশোর সাহিত্যে রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা, ওয়েস্ ও লন্ডনে। শুরুতে বিজ্ঞানের ছাত্র, স্নাতকোত্তর পাঠ নিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে। পরে আইনও পড়েছেন, পিএইচডি করেছেন লন্ডনে। এ পর্যন্ত তাঁর শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে উপন্যাস: ‘মিমির নোটবই’, ‘কাজল নদীর জলে’, ‘হাজব্যান্ডস’, ‘অধরা’, ‘ভারপ্রাপ্ত সচিব’, ‘প্রতিমন্ত্রী’, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘সেকেন্ড লেনে হেলেন’, ‘শর্মিষ্ঠা’ ইত্যাদি। ছোটগল্প: ‘ডায়ানা যেদিন সিঁড়িতে বমি করল’, ‘একটি পরিত্যক্ত কেলভিনেটর ফ্রিজের গল্প’ ইত্যাদি। প্রবন্ধ: ‘আমলা শাসানো হুকুমনামা’, ‘লেডি গোদিভা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’ ইত্যাদি।