অ্যাকাডেমিক ব্যাংকিং সেবা চালু করল প্রাইম ব্যাংক।
ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এক জায়গায় সব ব্যাংকিং সেবা দিতে ‘প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া’ নামে একটি ভিন্নধর্মী নতুন সেবা চালু করেছে প্রাইম ব্যাংক। সম্প্রতি সিলেটের স্বনামধন্য ব্লু বার্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের এই সেবা চালু করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্লুবার্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হুসনে আরা এবং প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর নাজিম এ চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিনামা হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানানমুখী আর্থিক প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই ‘প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া’ সেবাটি চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ধরনের মতো ব্যাংকিং সেবার চালু করল প্রাইম ব্যাংক। সেবার আওতায় রয়েছে যথাক্রমে: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য টিউশন ফি কালেকশন, স্টাফদের জন্য পেরোল ব্যাংকিং সেবা, বিশেষ সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের সেভিংস অ্যাকাউন্টস সেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আকর্ষণীয় মুনাফা আয়ের সুবিধাসহ প্রতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট সেবা, শিক্ষকদের ইন্স্যুরেন্স সুবিধাসহ টিচার্স সেভিংস অ্যাকউন্ট সেবা, সন্তানের শিক্ষা নিশ্চিতে আর্থিক সুরক্ষার জন্য অভিভাবকদের জন্য ঋণ সুবিধা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও প্রসারে আর্থিক সহায়তা করতে প্রতিষ্ঠানিক ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা এবং বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ফাইল সেবা।
অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই ধরণের একটি ব্যতিক্রমী অর্থিক সেবা চালু করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের উন্নয়নের সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাসহ উন্নত শিক্ষা প্রদানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সক্ষম করে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ব্লুবার্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হুসনে আরা বলেন, ‘শিক্ষা খাতের উন্নয়নে এই ধরণের একটি সেবা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য আমরা প্রাইম ব্যাংক পিএলসির কাছে কৃতজ্ঞ। সন্তানদের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল প্রয়োজন মেটাতে এই সেবা আমাদের শিক্ষক এবং অভিভাকদের জন্য সত্যিই সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
‘প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া’ বিভিন্ন সুবিধা ও আর্থিক সক্ষমতা সরবরাহ করে এই খাতের আর্থিক চিত্র পরিবর্তন করতে প্রস্তুত। সকল স্কুল-কলেজসহ বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে, যা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ।
