কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। আগামী ২৮ জুলাই থেকে আবারও শুরু হবে ভর্তি কার্যক্রম। এ প্রক্রিয়া চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৬ আগস্ট। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তির কার্যক্রম ২৫ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। বুধবার (২৪ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে বন্ধ আছে। দেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ভর্তি কার্যক্রমের সময়সীমা ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো। একইসঙ্গে চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৬ আগস্ট শুরু হবে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, ১৫ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ জুলাই। ক্লাস শুরুর কথা ছিল ১ আগস্ট। তবে ১৮ জুলাই থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে চলমান পরিস্থিতির কারণে একাদশে ভর্তির সময় বাড়ানো হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেছিলেন, একাদশের ভর্তির সময় বাড়ানো হবে। সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে ভর্তির সব কার্যকম বন্ধ রাখা হয়েছে। অফিস খুললে বোর্ড নতুন করে সার্কুলার দিয়ে পরবর্তীতে আবেদনের তারিখ বাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। ফল পুনঃনিরীক্ষণে আরো প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেন। তবে সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকার কথা।