১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এইচএসসির ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং যেভাবে হবে

কিশোর ডাইজেস্ট ডেস্ক
২৩ অগাস্ট ২০২৪, ১৫:১৩
এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডে পাঠাতে কলেজের অধ্যক্ষদের বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষাবোর্ডগুলো এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।  

তাতে বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর অংশগ্রহণকারী সব পরীক্ষার্থীদের জন্য উল্লিখিত তথ্য পাঠানোর জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষদের বলা হলো।

এর মধ্যে প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পাসের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফটোকপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দিতে হবে।

যে সব পরীক্ষার্থী টেকনিক্যাল বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফটোকপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দিতে হবে।

সব পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ব্যবহারিকের প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ইতোমধ্যে এ বোর্ডের ওয়েবসাইট খুলে দেয়া হয়েছে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলোর ফলাফল ৪০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করে প্রকাশের প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠকে এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়।

কীভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করা হবে: ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার জানান, কীভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করা হবে তা ঠিক করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

গতকাল শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা ফলাফল তৈরির বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টরা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য আলোচনা ছিল, অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর নম্বর এবং যেগুলো হয়নি সেগুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রস্তুত।

সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, কীভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে, সেই বিষয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউ এসএসসির ফল দেখে ম্যাপিং করতে বলেছেন। আবার কেউ জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষার ফলও পর্যালোচনার বিষয়টি তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে আরও বৈঠক করে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রস্তুত করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।

ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার সমকালকে বলেন, যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে, সেগুলোর নম্বর এবং যে পরীক্ষাগুলো হয়নি, সেগুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিং বা কোন উপায়ে ফল প্রকাশ করা যায়; সে বিষয়ে খসড়া প্রস্তাব পাঠাতে বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের বলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেলে, আমরা তা যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর ফল প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে, সেগুলোর নম্বর তো আমাদের হাতে আছে। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং করা যেতে পারে। 

ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর কীভাবে যুক্ত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়ের পরীক্ষাগুলো হয়েছে, কিন্তু ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়নি; ওই বিষয়গুলোর ব্যবহারিকের নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে হতে পারে। আসলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের প্রস্তাব বা তাতে অনুমোদন পাওয়ার আগে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালেও তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে অন্য বিষয়গুলোর ফল সাবজেক্ট ম্যাপিং করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সামনে দুটি উদাহরণ রয়েছে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তাব তৈরি করতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের বলা হয়েছে। 

সর্বাধিক পঠিত