কবীর খানের ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এ অভিনয়ে করে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছেন অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার কোনও কথাই ছিল না তাঁর। পড়াশোনায়ও তেমন ভালো ছিলেন না, রীতিমতো জোর করে তাঁকে পড়ানো হতো, স্কুল-কলেজে পাঠানো হতো। যার ফলে বার বার ফেল করতেন পরীক্ষায়। কপিল শর্মার অনুষ্ঠানে এসে কার্তিক আরিয়ানের গোপন কথা প্রকাশ করলেন তাঁর মা মালা তিওয়ারি
কার্তিকের ছোটবেলার নানা কথা এদিন ভাগ করে নেন তাঁর মা। তখনই জানান, অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন কখনো প্রকাশই করেননি কার্তিক। প্রথম ছবিতে সুযোগ পাওয়ার পর অভিনয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি। কার্তিকের মা, বাবা ও বোন পেশায় চিকিৎসক। তাই অভিনয়ের ইচ্ছার কথা প্রথম দিকে নিজের মধ্যেই রেখেছিলেন তিনি। মুখ ফুটে কিছু বলেননি।
কার্তিকের মা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখত কার্তিক, কিন্তু আমাদের এ কথা কখনো সে খুলে বলেনি। “পেয়ার কা পঞ্চনামা” ছবিতে সুযোগ পাওয়ার পর সে আমাদের তার মনের কথা খুলে বলে।’
কলেজে পড়াকালীন একটি বিষয়ে অকৃতকার্যও হয়েছিলেন কার্তিক। তাঁর মা ভাবতেন, সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন ছেলে। কিন্তু কার্তিক ব্যস্ত ছিলেন ছবির অডিশনের প্রস্তুতি নিয়ে। হঠাৎই এক দিন কাঁদতে কাঁদতে ফোন করেন কার্তিক। ফোনে অভিনেতা তাঁর মাকে বলেন, ‘মা, আমি পেরেছি। আমি অডিশন দিয়ে সুযোগ পেয়েছি একটি ছবিতে অভিনয় করার।’ কার্তিকের কথা শুনে তাঁর মা সেদিন কেঁদে ফেলেছিলেন। তিনি চাননি, ছেলে অভিনেতা হোক।
সেদিন ছেলেকে তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি অভিনেতা হতে চলেছ বলে আমি কাঁদছি। আমি চেয়েছিলাম তুমি পড়াশোনা করো এবং চিকিৎসক অথবা অন্য কিছু হও। কিন্তু কখনোই চাইনি তুমি অভিনেতা হও।’
কার্তিককে ধরে বেঁধে পড়াশোনা করানো হতো বলেও জানান তাঁর মা। প্রতিবার কোনো একটা বিষয়ে অকৃতকার্য হতেন অভিনেতা। জোর করে স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বুঝিয়েছিলেন পড়াশোনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কার্তিকের মা বলেন, ‘জোর করে পড়িয়েছি তাকে। একটা ডিগ্রি তো থাকা উচিত তার। ৪ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং সে ১০ বছরে শেষ করেছে।’ সেই কার্তিক আজ ভারতের সিনেমা জগতের এক সাড়া ফেলে দেওয়া নাম।
সূত্র: আনন্দবাজার