সঠিক সময়ে ঘুম থেকে না ওঠার কারণে ফজরের নামাজ আদায় করতে অনেকেরই সমস্যা হয়। এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ভোরে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার অভ্যাস সবার জন্য জরুরী। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশা ও ফজরের জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ফজরের নামাজের জন্য জেগে ওঠার ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরী। যদি মনের প্রবল ইচ্ছা থাকে তবে ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠা সম্ভব। ফজরের নামাজের জন্য জেগে ওঠার কয়েকটি কৌশল এখানে বলা হলো।
ঘুমানোর আগে অজু করা
মহানবী (সা.) বারা ইবনে আজেব (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন নামাজের অজুর মতো অজু করবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৮৪)। ঘুমানোর আগে অজু করতে হবে। পাশাপাশি, ঘুমানোর আগে এই দোয়া করা ভালো, ‘হে আল্লাহ, আমার জন্য ফজরের নামাজকে তুমি সহজ করো, কবুল করো।’
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া
বেশি রাত না জাগা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রাত জাগার যুক্তিসংগত কারণ না থাকলে সেটাই উত্তম। ঘুমের আগে মুঠোফোনসহ সব ধরনের ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখলে সময়মতো ঘুমানো সহজ হয়।
অ্যাপ অথবা এলার্ম ব্যবহার
গুগল প্লে স্টোরে ব্যবহারযোগ্য অনেক ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায়। সময়মতো ওঠার জন্য কোনো অ্যালার্ম অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
নিয়মিত একই সময়ে ঘুমানো
প্রত্যেক মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস আছে। কেউ ঘুমান ৮ ঘণ্টা, কেউ ৭ ঘণ্টা; কারও ঘুম হয় ৬ বা ৫ ঘণ্টা। ধরা যাক, ফজরের নামাজের জন্য ভোর পাঁচটায় উঠতে হবে, তাহলে ঘুমের ধরন অনুযায়ী ততক্ষণ আগে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন।
বিতরের নামাজের পর দোয়া করা
বিতরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। বিশ্বাস রাখতে হবে, আল্লাহ আপনাকে ঘুম থেকে জেগে ওঠাবেন।
কোরআন পাঠ করে ঘুমাতে যাওয়া
মহাগ্রন্থ আল কোরআনের মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি হলে ফজরের নামাজের জন্য জেগে ওঠার সহজ হবে। মহানবী (সা.) ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুরা সাজদাহ ও সুরা মুলক (৩২ ও ৬৭ নম্বর সুরা) পাঠ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কিয়ামতের কথা স্মরণ করা
ভালো কাজ করলে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত হবেন। আল্লাহর কথা মেনে চললে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হওয়া সম্ভব। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে কেয়ামতের সজা ও বেহেস্তের পুরসকারের কথা স্মরণ করে ঘুমাতে গেলে এমনিতেই ফজরের আগে ঘুম ভেঙ্গে যাবে।