মা হওয়ার অনুভূতি একেবারেই আলাদা।
ছবি : ফ্রিপিক
মা হওয়ার অনুভূতি একেবারেই আলাদা। আপনার ২৪ ঘণ্টাই কাটছে বাচ্চার সঙ্গে। সন্তানকে নিয়ে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে নিজের যত্ন নেওয়ার কথা মনেও থাকে না। কী, তাই না?
গর্ভাবস্থায় শরীরে নানা রকম পরিবর্তন হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। মুখে ব্রণ হয়। দাগছোপে ভরে যায়। এসব সমস্যা সন্তানের জন্মের পরও পিছু ছাড়ে না। দিনের ১৫ মিনিট নিজের জন্য সময় বের করে ত্বকের যত্ন নিন।
দিনে দু’বার ত্বকের পরিষ্কার করুন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া কাঁচা দুধের সঙ্গে মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ত্বকের উপর জমে থাকা ময়লা, তেল, জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রচুর পানি পান করুন। এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং ত্বকের সমস্যাও এড়াতে পারবেন। পাশাপাশি সন্তানকে স্তন্যদুগ্ধ পান করানোর সময় দেহে পানির ঘাটতি হবে না। পানির পাশাপাশি ফলের রস, স্মুদিও ডায়েটে রাখতে পারেন।
ডায়েটে শাকসবজি, ফল রাখুন। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে ত্বক ও চুলের সমস্যা কমবে। পাশাপাশি দেহে একাধিক রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
নতুন মায়েরা হজমের সমস্যায় ভোগেন। এই সময় হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে জোয়ান ভেজানো পানি পান করুন। এটি হজমশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেবে। এতে ত্বকের সমস্যাও কমে যাবে।
নবজাতকের যত্ন নিতে গিয়ে রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। আর ঘুমের অভাবে চোখের তলায় কালি পড়ে। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ দেখা দেয়। সন্তান যখন ঘুমাচ্ছে, তার পাশে আপনিও শুয়ে পড়ুন। পর্যাপ্ত ঘুম আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি। এতে ত্বকও ভালো থাকবে।
