০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছুটিতে পড়তে পারেন যে পাঁচ বই

নাবিলা রহিম
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:১৪
অবসরে পড়তে পারেন এই পাঁচ বই। অলংকরণ : কিশোর ডাইজেস্ট

গায়ে কম্বল। হাতে বই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখবেন দিন কখন রাত হয়ে গিয়েছে টের পাননি। সামনে পড়ে থাকা পিঠাও ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে সেই কখন। এভাবেই বই পড়তে পড়তে পার করে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শীতকাল বই পড়ার জন্য আদর্শ সময় বটে।

এই সময়ে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই লম্বা ছুটি দিয়ে থাকে। ছুটিতে তাই বই পড়ে কাজে লাগাতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তেমন দারুণ কয়েকটি বইয়ের কথা—

দ্য কাইট রানার
আমার পছন্দের তালিকায় সব সময় উপরে থাকবে এই বই। আফগান-মার্কিন লেখক খালেদ হোসেইনির এই বই এখনও উপযোগী। ১৯৯৬ সালে তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তান দখলের আগে-পরের কাহিনি এখানে বর্ণনা করা হয়েছে নায়ক আমিরের বয়ানে। ২০০৩ সালে প্রকাশিত বইটির গল্প সোভিয়েত সামরিক হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে আফগান রাজতন্ত্রের পতন, পাকিস্তান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবাসজীবনের পটভূমি নিয়ে রচিত। এই বইয়ে লেখক পারিবারিক বিষয়ের ওপরও জোর দিয়েছেন। বইবিপণিতে গেলেই পাবেন অনুবাদকৃত বই।  

জন-অরণ্য
লেখক শংকরের বহুল পঠিত উপন্যাস জন-অরণ্য। মানুষ হয়ে জন্মেছি ঠিকই কিন্তু মানুষ হতে পেরেছি কি? বইটার প্রথম পৃষ্ঠা আপনাকে প্রশ্ন করবে, মানুষ কাকে বলে? এত দিনের জানা উত্তর ধাক্কা খাবে এখানে। লেখক মণিশংকর মুখোপাধ্যায় আপাতদৃষ্টিতে ব্যর্থ এক তরুণের কথা লিখেছেন। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয় বইটি। সোমনাথ, বড় বউদি, সুকুমার চরিত্রগুলো আপনাকে জীবনের নানা রং দেখাবে। বইটি তখন এক বসায় শেষ করতে না পারলে ভালো লাগবে না। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ১৯৭৬ সালে এর অবলম্বনে তৈরি করেন সিনেমা।

বাংলাদেশ : আ লিগাসি অব ব্লাড
সাংবাদিক অ্যন্থনি মাসকারেনহাস বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন। এটি একটি বাস্তবধর্মী বই। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে বাংলাদেশের অবস্থা, নানা গণ-অভ্যুত্থানের বণর্না করা হয়েছে এতে। লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে লিখে গিয়েছেন। জেলহত্যা, সামরিক অভ্যুথান, জিয়া হত্যার ঘটনা লেখা হয়েছে সূক্ষ্মভাবে। ১৯৮৬ সালে বইটি প্রকাশ পায়।

হাঞ্চব্যাক অব নটর ডেম   
ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম ক্লাসিক হিসেবে ধরা হয় এটিকে। ভিক্টর হুগো রচিত বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৩১ সালে। বিখ্যাত নটর ডেম ক্যাথেড্রালকে কেন্দ্র করে লেখা এই বইয়ের মূল থিম আবেগ আর ধর্ম। গল্পের প্রধান চরিত্র কোয়াসিমোড আমাদের আরও শেখাবে কীভাবে নিকৃষ্টতম জিনিসকেও ভালোবাসা যায়। যেখানে মানুষের বাহ্যিক সব কিছু না।

তোত্তো-চান
দেশে যখন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ হচ্ছে না, তখন আপনি পড়ে ফেলতে পারেন এই বইটা। কেন? কেননা এখানে তোমেই নামক স্কুল রয়েছে। ভিন্নধর্মী এই স্কুলে শেখানো হয় কীভাবে কৃষকের সাথে মিশে কৃষিকাজ করা যায়। জাপানি টিভি ব্যক্তিত্ব তেতসুকো কুরোয়নাগি আপনার মনেও ভাসিয়ে তুলবে সেই রঙিন স্কুলের ছবি, যা আপনি বাস্তবেও পেতে চাইবেন। সফলতা শুধু যে ভালো ফলেই নিহিত নয়, সেটা অনুধাবন করবেন।

এখানেই তো শেষ নয়, ভবিষ্যতে আরও বইয়ের কথা জানা যাবে। তার আগ পর্যন্ত বই পড়া চালিয়ে যান। পাঠক, আপনাদের শুভেচ্ছা।

সর্বাধিক পঠিত