ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও শীতের বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য শিশুকে সঠিকভাবে পোশাক পরানো প্রয়োজন। তবে শীতকালে শিশুকে উষ্ণ রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, যাতে সে গরম বোধ না করে। তাই অতিরিক্ত মোটা কাপড় না পরানোই উত্তম।
স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুর কোন কোন অঙ্গে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা অনুভব হয়, সেটা অভিভাবককে আগে বুঝতে হবে। আসুন, শীতকালে শিশুকে উষ্ণ রাখার কিছু উপায় জেনে নিই—
মাথা ঢেকে রাখা
শীতে শিশুর মাথা সব সময় ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ, যদি মাথার তাপমাত্রা কম থাকে, তাহলে এর প্রভাব শিশুর পুরো শরীরে পড়ে। তাই শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষায় টুপি পরান বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর টুপিটি যাতে খুব টাইট না হয় এবং তা যেন নরম কাপড়ের হয়।
ম্যাসাজ করুন
শিশুর শরীর উষ্ণ রাখার জন্য তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা অত্যন্ত উপকারী। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শিশুর শরীর মালিশ করার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে কমপক্ষে একবার ম্যাসাজ করা প্রয়োজন।
শিশুকে রোদে নিন
শীতের সকালে শিশুকে রোদে নিন। এতে তার শরীর উষ্ণ হবে। রোদে বসিয়ে শিশুকে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, এ সময় শিশুর গায়ে যেন বেশি বাতাস না লাগে।
নাক উষ্ণ রাখুন
আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গের মধ্যে নাক একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকারক ধোঁয়া ইত্যাদি শিশুর নাক দিয়েই শরীরে প্রবেশ করে। তাই শিশুর নাক সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর জন্য শিশুর নাক ঢাকতে হবে না, তাহলে শ্বাস নিতে সমস্যা হবে। ঘরের তাপমাত্রা যাতে খুব কম না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
ঠাণ্ডা হাত
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মাঝে মাঝে শিশুর হাতও ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তাই শিশুর হাতে নরম গ্লাভস পরান এবং ফুল হাতা পোশাক পরান। তবে রাতে ঘুমানোর সময় শিশুর শরীর কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখবেন, তবে মুখ ঢেকে রাখবেন না।
শীতকালে শিশুর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষায় আপনি একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বাড়ে, সে অনুযায়ী কী কী খাবার খাওয়াবেন, তা জানতে একজন পুষ্টিবিদেরও শরণাপন্ন হতে পারেন।