০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিশুর ঘন ঘন হেঁচকি উঠলে কী করবেন

কিশোর ডাইজেস্ট ডেস্ক
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩
শিশুদের ঘন ঘন হেঁচকি ওঠা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ছবি : ফ্রিপিক

শিশুদের ঘন ঘন হেঁচকি ওঠা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ডায়াফ্রামের সংকোচন এবং ভোকাল কর্ড দ্রুত বন্ধ হওয়ার কারণে শিশুর হেঁচকি হয়। কিন্তু কখনও কখনও শিশুর ক্রমাগত হেঁচকি হতেই থাকে, কিছুতেই থামতে চায় না। এ নিয়ে চিন্তিত হন অভিভাবকেরা।

স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন অনেক উপায় রয়েছে, যেগুলো প্রয়োগ করে আপনি আপনার শিশুর হেঁচকি থামাতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে ডাক্তারের সঙ্গেও পরামর্শ করতে পারেন। আসুন, কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিই—

সময়মতো খাওয়ান 
শিশুকে কেবল তখনই খাওয়াবেন না, যখন সে খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। কারণ, খিদের জ্বালায় যখন শিশু খাবারটি গিলবে, তখন বাতাস অত্যধিক পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই শিশুকে সময়মতো খাওয়াতে হবে। শিশু যখন একেবারে শান্ত থাকবে, তখন তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

ঢেঁকুর তোলান 
শিশুর হেঁচকি তোলা প্রতিরোধের অন্যতম সেরা পদ্ধতি এটি। যদি আপনার শিশু দুধ খাওয়ার সময় ঢেঁকুর তোলা শুরু করে, তাহলে কিছুক্ষণ তাকে খাওয়ানো বন্ধ রাখুন এবং শিশুকে ঢেঁকুর তুলতে দিন। ঢেঁকুর তোলার ফলে শিশুর পেটে জমে থাকা সমস্ত বায়ু বেরিয়ে যায়। এই অতিরিক্ত বায়ু বা গ্যাসই শিশুর হেঁচকি ওঠার অন্যতম কারণ।

পিঠে আলতো করে ঘষুন 
শিশুর হেঁচকি উঠলে তার পিঠে আলতোভাবে ঘষুন। খুব বেশি জোর দিয়ে পিঠে আঘাত বা চাপড় মারবেন না। শিশুর পিঠে হালকা চাপ দিন বা ঘষুন, কখনও শক্তি প্রয়োগ করবেন না।

হেঁচকি বন্ধ হতে দিন 
হেঁচকি সাধারণত নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। যদি হেঁচকির কারণে আপনার শিশুর খুব একটা অসুবিধা না হয়, তাহলে তা হতে দিন। কিন্তু যদি হেঁচকি না থামে, তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দুধের বোতল পরীক্ষা করুন 
শিশুর দুধের বোতলও হেঁচকির অন্যতম কারণ হতে পারে। এমন অনেক বোতল আছে যেগুলো বেশি বাতাস ধরে রাখে। তাই খাওয়ানোর সময় শিশুর হেঁচকি উঠলে অন্য ব্র্যান্ডের বোতল ব্যবহার করুন।

শিশুর হেঁচকি ওঠা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আপনার যদি মনে হয়, শিশুর প্রায়ই হেঁচকি উঠছে বা এ বিষয়ে আপনার কোনও সন্দেহ জাগে, তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না। তিনিই আপনাকে সঠিক পরামর্শটি দেবেন।

সর্বাধিক পঠিত