মানুষকে মহাকাশে পাঠানো কখনওই সহজ কাজ ছিল না। প্রায় ৫০ বছর আগে নাসা চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল। তারপর এখন আবার চাঁদে মানব মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের পর চীন তার মহাকাশচারীদের নিজস্ব নির্মিত মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীরাও মহাকাশে গেছে। মহাকাশে এখনও পর্যন্ত বহু মহাকাশচারী প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু কখনও কি মনে এমন প্রশ্ন এসেছে, মহাকাশের কোথাও কোনও নভোচারী মারা গেলে তাঁর শরীরের কী হয়?
দ্য কনভারসেশন রিপোর্টের বরাতে টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ৬০ বছর আগে শুরু হওয়া মহাকাশ মিশনে ২০ জন মহাকাশচারীর জীবন গেছে। এর মধ্যে ১৪ জন মহাকাশচারী ১৯৮৬ এবং ২০০৩ সালে নাসার স্পেস শাটল ট্র্যাজেডিতে মারা গিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সয়ুজ ১১ (Soyuz 11) মিশনের সময় তিনজন মহাকাশচারী মারা যান। ১৯৬৭ সালে অ্যাপোলো ১ লঞ্চ প্যাডে আগুন লেগে আরও তিনজন মারা যান।
তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে মহাকাশে যাওয়ার পথে কোনও নভোচারীর মৃত্যু হলে বা মহাকাশ স্টেশনে হঠাৎ কারও মৃত্যু হলে তার শরীরের কী হবে? প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর জন্য নিয়ম-কানুন ইতিমধ্যেই ঠিক করা হয়েছে। এতে মহাকাশে থাকাকালীন যদি কেউ প্রাণ হারায় তাহলে তার দেহ পৃথিবীর একদম নিম্ন কক্ষপথে নামিয়ে এনে একটি ক্যাপসুলে রেখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে এটা এখনও পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। ক্রুদের পৃথিবীতে ফিরে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।