১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফারুক আহমেদের ক্রিকেট ক্যারিরয়ার যেমন ছিল

কিশোর ডাইজেস্ট ডেস্ক
২২ অগাস্ট ২০২৪, ০৯:১৫
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যে পালা বদল হবে, এই সম্ভাবনা বহু আগেই তৈরি হয়েছিল। প্রত্যাশিত ভাবে সেটাই হয়েছে। নাজমুল হাসান পাপন এখন অতীত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। এর আগেও বোর্ডের পদে ছিলেন তিনি। দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার। তেমনই বোর্ডের পদে থাকাকালীন নতুন প্লেয়ার তুলে আনার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। তাঁর ক্রিকেট ক্যারিরয়ার কেমন ছিল? ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবেই বা কী অবদান রয়েছে?  

বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটার ছিলেন ফারুক আহমেদ। ক্যারিয়ার অবশ্য দীর্ঘ হয়নি। মাত্র ৭টি ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে খেলেছেন ৫টি ম্যাচ। ঘরোয়া ওয়ান ডে ক্রিকেটে খেলেছেন ২১ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭টি ওয়ান ডে-তে তাঁর রান ১০৫। একটি মাত্রই হাফসেঞ্চুরি। ঘরোয়া ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১টি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয় ১৯৮৮ সালে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক। শেষ ম্যাচ খেলেন ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। এগারো বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিরয়ারে মাত্র ৭টি ওয়ান ডে!

ক্যারিরয়ারের সেরা ইনিংস ভারতের বিরুদ্ধে। ১৯৯০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড়ে ক্যারিরয়ারের একমাত্র হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন। যদিও দল জেতেনি। ১২৬ বলে ৫৭ রান করেছিলেন বাংলাদেশের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। ২০০১ সালে খেলেছেন সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। 

খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার  ২ বছরের মাথায় প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান ফারুক। দেশের ইতিহাসে এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা ক্রিকেটাররা তার হাত ধরেই উঠে এসেছেন প্রথম মেয়াদে। ২০০৫ সালে খালেদ মাসুদ পাইলটের জায়গায় ১৮ বছরের তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিকুর রহীমকে সুযোগ দেন ফারুক আহমেদ। এছাড়া সাকিব আল হাসান, যাকে মানা হয় দেশের ইতিহাসে সেরা ক্রিকেটার তিনিও ফারুকের খুঁজে আনা প্রতিভা। এছাড়া ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৮ বছরের তামিম ইকবালকেও তিনিই সুযোগ দেন জাতীয় দলে। এই তিনজনই পরবর্তীতে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরাদের কাতারে জায়গা করে নেন।

সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এর আগে দুই মেয়াদে বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম মেয়াদে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত, আর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে তার দায়িত্ব পালন সুখকর ছিল না। পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছিলেন।

সর্বাধিক পঠিত