২১ নভেম্বর ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়, কী কী বিষয় পড়া যাবে

মুসাররাত আবির
০২ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫২
মোহাম্মদ বিন জায়েদ ইউনিভার্সিটি অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্ভাবনার নতুন দরজা উন্মোচন করে দিয়েছে। বিশাল তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ তো বটেই, এটি এখন হয়ে উঠেছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্র। ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলাদা করে বিশ্ববিদ্যালয়ই গড়ে উঠছে পৃথিবীতে। কেবল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়ে উঠেছে বিশ্বের প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিশ্ববিদ্যালয়। এর নাম মোহাম্মদ বিন জায়েদ ইউনিভার্সিটি অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কেবল পুঁথিগত বিদ্যাচর্চা নয়, গবেষণাও করা হয়।

মানবজাতি ভবিষ্যতে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এবং এআইয়ের সাহায্যে কীভাবে সেই সব সমস্যার সমাধান বের করা যায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য তাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এমনভাবে শিক্ষাদান করা হয়, যাতে তাঁরা সমাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন।

যেসব বিষয় পড়া যাবে
মোহাম্মদ বিন জায়েদ ইউনিভার্সিটি অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে স্নাতক পর্যায়ে পড়া যায় না। পড়তে হয় স্নাতকোত্তর পর্যায়ে। এখানে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। পড়াশোনার বিষয়গুলো হলো:

* মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন কম্পিউটার ভিশন 
* মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন মেশিন লার্নিং 
* মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং
* মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন রোবোটিকস 
* মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স 
* ডক্টর অব ফিলোসফি ইন কম্পিউটার ভিশন
* ডক্টর অব ফিলোসফি ইন মেশিন লার্নিং 
* ডক্টর অব ফিলোসফি ইন ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং 
* ডক্টর অব ফিলোসফি ইন রোবোটিকস
* ডক্টর অব ফিলোসফি ইন কম্পিউটার সায়েন্স

সুযোগ-সুবিধা
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা কিন্তু কেবল আরব আমিরাতের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পুরো বিশ্বের ৪১টি দেশের ২৭২ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছেন। তবে ছেলেদের তুলনায় এখানে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেশ কম, মাত্র ২৮ শতাংশ। এখানে অনেক শিক্ষার্থীকেই একদম বিনা মূল্যে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নানান বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। টিউশন ফি মওকুফ বা ছাড়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাড়তি ভাতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া নানা সুযোগ-সুবিধার মধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতরেই থাকার ব্যবস্থা, রেসিডেন্স ভিসা, স্বাস্থ্য ভাতা ইত্যাদিও দেওয়া হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকে, তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে যে কারও জন্য আদর্শ।

স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৮ হাজার দিরহাম বা প্রায় ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর অবিবাহিত পিএইচডি শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার দিরহাম বা প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয়। আর বিবাহিত শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় ১৫ হাজার দিরহাম বা প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 
* অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। 
* একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড, কাজের অভিজ্ঞতা, রিসার্চ পাবলিকেশনস, প্রোগ্রামিং বা কোডিং স্কিল আছে, এমন সিভি দেখাতে হবে।  
* পাসপোর্টের কপি। 
* সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা ছবি।

সূত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

সর্বাধিক পঠিত