বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। কাছে যাওয়া না গেলেও দূর থেকে লাভা নির্গত হওয়ার সেই দৃশ্য দেখতে অপরূপ লাগে। আগ্নেয়গিরির কারণে কেবল মানুষের অপকার নয়, উপকারও হয়ে থাকে। এতে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
কোন দেশে আগ্নেয়গিরির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি? বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিয়ে যখনই কথা হয়, এই তালিকায় প্রথম নামটি আসে ইন্দোনেশিয়ার। এই দেশে প্রায় ১২১টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার মধ্যে ৭৪টি আগ্নেয়গিরিতে ১৮০০ সাল থেকে অবিরাম অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। সেই সব আগ্নেয়গিরি থেকে অনেক সময় লাভার সঙ্গে অনেক খনিজ পদার্থ নির্গত হয়।
এই যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাংশে অগ্ন্যুৎপাতের জন্য অধিক পরিমাণে খনিজ দ্রব্য পাওয়া যায়। অগভীর সমুদ্রে বা হ্রদে লাভা ও ভস্ম সঞ্চিত হয়ে এরূপ ভূভাগ সৃষ্টি হয়।
টিভি নাইন বাংলার খবর, ইন্দোনেশিয়ায় ২০২২ সাল থেকে সাতটি আগ্নেয়গিরিতে ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রোমো, ক্রাকাতাউ, মেরাপি, লোভোট্রোক, সেমেরু, ইবু, ডুকনো এবং কারাংটাং আগ্নেয়গিরি।
ইন্দোনেশিয়ায় এত আগ্নেয়গিরি থাকার কারণ কী? কারণ, ইন্দোনেশিয়া যে জায়গায় অবস্থিত, সেখানে ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেট দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছে। ভারতীয়-অস্ট্রেলীয় প্লেট উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে। ফিলিপাইন প্লেট পশ্চিম দিকে সরছে। যখন এই তিনটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন এটি একটি আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটায়।
ইন্দোনেশিয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের দেশ হিসেবেও পরিচিত। কারণ, এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থিত। এ ছাড়া এই অঞ্চলে সর্বাধিক ভৌগোলিক এবং ভূতাত্ত্বিক কার্যক্রম হয়। যে কারণে ভূমিকম্প, সুনামি, লাভা গঠনের মতো ভৌগোলিক কার্যকলাপ দেখা যায়।
ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির রুদ্ররূপ দেখতে তাই ভিড় করেন বহু দেশের পর্যটক। রাতের আঁধারে দূর থেকে লাভা নির্গত হওয়ার সেই অপরূপ দৃশ্য দেখে মন ভরে যায় ভ্রমণপিপাসুদের।